শ্রীবরদীতে বিএনপির রাজনীতিতে সেনা কর্মকর্তার বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের শ্রীবরদীতে বিএনপির রাজনীতিতে আওয়ামী পরিবারের এক সেনা কর্মকর্তার বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন দলটির নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম দুলাল বলেন, ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্টে এডুকেশন কোরে কর্ণেল পদে চাকুরীরত শ্রীবরদী উপজেলার বাসিন্দা মো. গোলাম মোস্তফা সেলিম।

তিনি সম্প্রতি শ্রীবরদী উপজেলা বিএনপির অঙ্গসহযোগী সংগঠনের কতিপয় নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজনৈতিক মিটিং এ বসেন। শ্রীবরদীর রাজনীতি, জনগণ বা কোনো শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে ইতিপূর্বে যার কোন সংশ্লিষ্টতা ছিলো না।

তিনি সরকারি চাকুরী করে প্রকাশ্যে শ্রীবরদীর রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নানান মন্তব্য করেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

তিনি দল ও সমাজের ঐক্য নষ্ট করার জন্য আওয়ামী এজেন্ট হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত কিনা, তা আমাদের মনে প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে।

কেননা তাকে ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থী এডিএম শহিদুল ইসলামের হয়ে প্রকাশ্যে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা যায়।

শুধু তাই নয় তিনি একজন আওয়ামী পরিবারের সন্তান। আমাদের শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) নিশ্চিত একটি বিএনপির আসন।

আমাদের ধারণা শেরপুর-৩ আসনের গণমানুষের নেতা, জণগণের সুখে দুঃখে, নির্যাতনে, মামলা-হামলায়, দূর্যোগে, দুঃসময়ের সাথী বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি মো.মাহমুদুল হক রুবেলের নিশ্চিত আসনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের জন্য সে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছে।

বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, সংবাদের মাধ্যমে বিএনপির হাই কমান্ডকে জানাতে চাই এর পিছনে যারা জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।

এই সময়ে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে, বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠন জনগণকে সাথে নিয়ে এর সমুচিত জবাব দেবে।

আর গত ৫আগস্ট বিপ্লব পরবর্তী সময়ে যখন সংস্কারের মাধ্যমে দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা ফেরাতে সশস্ত্র বাহিনীসহ সরকারের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ সচেষ্ট এমন সময় এই সেনা কর্মকর্তা শ্রীবরদীতে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরী করতে হীন অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তাই গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানাতে চাই, সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ১৯৭১ এর ২৫ বিধি মোতাবেক সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা এর অঙ্গসংগঠনের সদস্য বা এর কোন কার্যক্রম অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

যদি অংশগ্রহণ করেন বা জড়িত হয়, তবে তা অসদাচরণ হিসেবে গন্য হবে এবং এই অসদাচরণ এর দায়ে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী কতৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

এই মর্মে কেন তার বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- তা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে চাই এবং শ্রীবরদীতে যেন কোন অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে না ওঠে তার জন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন দুলাল, শ্রীবরদী পৌর বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক চৌধুরী অকুলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

তবে এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা যুবদলের নেতা আবু রায়হান মুহাম্মদ আল বেরুনী বলেন, কর্ণেল মো. গোলাম মোস্তফা সেলিম শুধুমাত্র তার পরিচিত কয়েকজনের অনুরোধে সেখানে চা খেতে বসেছিলেন।

সেখানে কোন রাজনৈতিক আলাপ হয়নি। তবে শেরপুর-৩ আসনের কান্ডারী রুবেল ভাইয়ের নির্বাচনের বিষয়ে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ আছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com