নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র -জনতার আন্দোলনে দমন নিপিড়ন হামলাসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজশাহী মহানগর ছাত্র লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক একাধিক মামলার আসামী রাজিবের সহোযোগি ও ক্যাডার শেখ মহিউদ্দিন সিফাত। রাজিব সাবেক মেয়র লিটন ও অর্না জামানের বিশেষ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। সিফাত ও সেই ক্যাডার গ্রুপের সদস্য বলে পরিচিত ছিলো।
৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর থেকে আত্নগোপনে চলে যায়। আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতারা এখনও পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে গত ৫ আগস্টে রাজশাহী শহরে দুইজন ছাত্র শহীদ হোন আর তাদের হত্যার সাথে জড়িত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের নেতাকর্মীরা।
শেখ মহিউদ্দিন সিফাত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে কিন্তু অজানা কারনে তার নামে কোন মামলা হয়নি।
গত ৪ আগষ্টের মিছিলে অংশগ্রহণের ছবি এখন বিভিন্নজনের ফেসবুকে ভাইরাল। তারপরও পুলিশ প্রশাসন তাকে কেনো গ্রেপ্তার করছে না সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
এলাকাবাসীর দেয়া তথ্য মতে শেখ মহিউদ্দিন সিফাত বেশ কিছুদিন আত্নগোপনে ছিলো, এখন এলাকায় নির্বিঘ্নে চলাফেরা করছে। ধারনা করা হচ্ছে কাউকে ম্যানেজ করে সে বাসায় থাকে।
উল্লেখ্য যে শেখ মহিউদ্দিন সিফাত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত পারিবারিক সুত্রে তার পিতা প্রয়াত কাউন্সিলর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে লিটনের পক্ষে ওয়ার্ডে
প্রচার প্রচারনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। তবে সিফাতের প্রকাশ্যে চলাফেরা করায় পুলিশ প্রশাসনের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।