স্টাফ রিপোর্টার: দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি রাজশাহীতে। এর মধ্যেই হয়েছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। ফলে শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে রাজশাহী। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবারের চেয়ে মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে। কিন্তু শীতের তীব্রতা আগের দিনের চেয়ে বেশি।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছে, সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ১৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে গত রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তারও আগে শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সোমবার সারাদিনেও রাজশাহীতে সূর্যের দেখা মেলেনি। দুপুরের পর হয় হালকা বৃষ্টি। সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশায় ঢেকে যায় প্রকৃতি। রাত ১০টার পর তো দৃষ্টিসীমা ২০ মিটারের কমে নেমে যায়। সড়ক-মহাসড়কে গতি কমিয়ে চলাচল করে যানবাহন।
মঙ্গলবার সকালেও কুয়াশার চাদরে মোড়া ছিল প্রকৃতি। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাজশাহীর আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া সহকারী আনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘এখন তাপমাত্রা এ রকমই থাকবে। কিছুটা কমতেও পারে।’
এদিকে শীত নামলেও রাজশাহীতে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারিভাবে শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা হয়নি।এখনও কোন বরাদ্দ আসেনি বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ। তিনি বলেন, ‘এখনও শীতবস্ত্র বরাদ্দ আসেনি। বরাদ্দ এলে বিতরণ করা হবে।’