ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুর সদরের কানাইপুরে ওবায়দুর রহমান খান (৩২) নামে এক যুবককে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও চোখ ক্ষতিগ্রস্ত করে হত্যার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। রোববার (১২ জানুয়ারি) সকালে নিহত ওবায়দুর রহমানের মা রেখা বেগম বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা করেন।
নিহত ওবায়দুর রহমান খান কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের বিল্লাল খানের ছেলে। এ মামলায় কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন এবং তার ভাই খায়রুজ্জামান ওরফে খাজাসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা বলেন, এ হত্যা মামলার এভাজারভুক্ত আসামি রেজাউল করিম খানকে (৩৫) রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নড়িয়া বাজার থেকে সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, খায়রুজ্জামান ওরফে খাজা দীর্ঘ ২০ বছর ফরিদপুরের অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা কানাইপুরসহ আশপাশের অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছিলেন। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। খাজা বিগত আওয়ামী লীগের আমলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমানের ভাগ্নে পরিচয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছিলেন। তবে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর তার ভাই সাবেক বিএনপি নেতা কানাইপুরের বর্তমান চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের প্রভাব খাটিয়ে কানাইপুরের বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। বর্তমানে আলতাফ হোসেনকে ফরিদপুরের এক প্রভাবশালী বিএনপি নেতা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে কানাইপুর পল্লী বিদুৎ অফিসের সামনে মমতাজ ফিলিং স্টেশনে তেল নিতে যান ওবায়দুর। ওই সময় খায়রুজ্জামানের লোকজন সেখান থেকে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে করে ওবায়দুরকে অজ্ঞাত জায়গায় তুলে নিয়ে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারা যান ওবায়দুর।