নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব  প্রতিবেদক: ২০২২ সালে কেরানীগঞ্জে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি সজীবসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এই রায় দেন।কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় দায়ের করা এই মামলার প্রধান দুই আসামি সজীব ও আলী আকবর এখনও পলাতক। দণ্ডিতরা হলেন- কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন খোলামোড়া গ্রামের কামির উদ্দিনের ছেলে মো. সজিব (২৫), ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার খাঁকান্দা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে মো. রাকিব (২৩) এবং শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার মুসলিম মাতবরের ছেলে শাওন ওরফে ভ্যালকা শাওন (২৬)।

এছাড়া লাশ গুমের ঘটনায় তাদের প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) সাজার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আসামিদের স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় করে অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

এদিকে আলী আকবর (২২) এবং মো. রিয়াজের (২২) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পেয়েছেন।রায় ঘোষণার আগে কারাগারে থাকা তিন আসামি রাকিব, রিয়াজ এবং শাওনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে দণ্ডিত রাকিব এবং শাওনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডিত সজিব পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।মামলার বিবরণীতে বলা হয়, ২০২২ সালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পশ্চিম বামনসুরে একটি পুকুরের পানিতে মারিয়া নামের একজনের লাশ পানিতে ভেসে থাকতে দেখা যায়। এ ঘটনায় প্রথমে আসামী ভ্যালকা শাওনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জবানবন্দিতে শাওন জানায়, মো. রাকিব, মো. রিয়াজ মো. সজিব, মো. আলী আকবর মিলে ভিকটিম কিশোরি মারিয়াকে গণধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে । পরে পুলিশ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com