আবুল হাসনাত : চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিং চত্ত্বরে শহীদ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের প্রথম জানাযা ও জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে দ্বিতীয় জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামীর কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন,’তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা অত্যন্ত জঘন্য এবং নিন্দনীয় অপরাধ। সাইফুল ইসলাম সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য শহীদ হয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা তার সকল ভুলত্রুটি মাফ করে তাকে শহীদ হিসেবে কবুল করে জান্নাতুল ফেরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন এবং শহীদ সাইফুল ইসলাম আলিফের পরিবারের প্রতি আল্লাহ তায়ালা ধৈর্য্য ধারণ করার তাওফিক দান করুক।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, গতকাল ইসকন কিভাবে আমার ভাইকে শহীদ করেছে তা আপনারা দেখেছেন। বাংলার পলাতক ডাইনি হাসিনা ভারতে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। আওয়ামী লীগের এই স্বপ্ন আর বাস্তবায়ন হবে না। ইসকন উগ্র সন্ত্রাসী ও জঙ্গি গোষ্ঠীকে অবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এদেশে আওয়ামীলীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া হবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানরা অন্য ধর্মের প্রতি সহানুভূতিশীল। আর এই সহানুভূতিকে কাজে লাগিয়ে এডভোকেট সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাদের আর নিস্তার দেওয়া হবে না। বিগত খুনি হাসিনা তিলে তিলে এই জঙ্গি সংগঠন ইসকনকে প্রতিষ্ঠা করেছে। অবিলম্ব আইনজীবী সাইফুলের খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। জানাযার নামাজ পূর্বে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কপোর্রেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রমুখ।