কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সোনালি ফসল মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সোনালী ফসল খ্যাত মাটি ও মানুষের এবং তৃণমূল পর্যায়ের আস্থাভাজন নেতা মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা কুড়িগ্রাম জেলার একজন মেধাবী, দক্ষ, পরিচ্ছন্ন এবং কর্মীবান্ধব রাজনীতিবিদ।

তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত সবার কাছে তিনি সমানভাবে সমাদৃত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভীর আস্থাভাজন হিসেবে তিনি বিশেষ পরিচিত।

তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় দীর্ঘ পথপরিক্রমায়। ১৯৯৯ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির কমিটিতে ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত একই পদে তিনি পুনর্নিয়োগ পান এবং দায়িত্ব পালনে দক্ষতা প্রদর্শন করেন।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে “ওয়ান ইলেভেন” নামে পরিচিত, জরুরি অবস্থার মধ্যে তিনি কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এ সময়ে দেশজুড়ে রাজনৈতিক নেতাদের উপর দমনপীড়ন চালানো হয়, এবং অনেক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হন।

২০০৯ থেকে ২০১০ সালে, তিনি কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১০ থেকে ২০১৫ এবং ২০১৫ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তিনি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন।

দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, প্রাণহানি এবং হরতালের মাধ্যমে দিনটি শেষ হয়। এ সময় বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তার হন।

৩১ অক্টোবর মধ্যরাতে ডিবি পুলিশ জনাব মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে তার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। ২৩ দিন কারাবাসের পর ২১ নভেম্বর তিনি মুক্তি লাভ করেন।

১৯৯৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত, ২৬ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি বিএনপির একজন সাংগঠনিক নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত থেকে তিনি কুড়িগ্রামের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আস্থা ও ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।

ফুলবাড়ী উপজেলার সাবেক ছাত্রদল ও যুবদল নেতা শামসুজ্জামান হাসু বলেন কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির একজন পরিশ্রমী ও কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা ভাইকে আগামী জেলা বিএনপি’র কমিটিতে গ্রহণযোগ্য পদে রাখবে বলে বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ নিকট আশাবাদী।

তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির নতুন কমিটিতে তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মানজনক পদে দেখা যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com