ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: স্বামী না থাকায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের বউ রজনী আক্তার সুমি (৩৮) কে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ভাসুর নুরুল ইসলাম, শফিউল আলম ও মনতাজ আলীসহ একই পরিবারের আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতিত গৃহবধূ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ৩ নং খনগাঁও ইউনিয়নের ঘিডোব নামক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে, নির্যাতনের শিকার ওই নারী ঘিডোব এলাকার মৃত মমিনুল হকের স্ত্রী। মমিনুল হক ২০২০ সালে দুজন কন্যা সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেন।
মমিনুল হকের মৃত্যুর কয়েক মাস পর থেকেই তার ভাইদের তার সম্পত্তির উপর কুনজর পরে। কারণ তার কোন ছেলে সন্তান নেই।
তার স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই তার বসত বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা অপবাদ ও স্বামীর জমি জবর দখলসহ বিভিন্ন উসিলায় ঐ নারীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন, জুলুম ও মারপিট করে।
ভুক্তভোগী ঐ নারীর স্বামীর সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করে হাল চাষ দেয় তার স্বামীর ভাইয়েরা। এসময় ঐ নারী বাধা দিলে তাকে মারপিট করে।
এমতাবস্থায় গত ২০ নভেম্বর (বুধবার ) সকালে পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাতে বাঁশের লাঠি, লোহার রড লইয়া ব্যালকনির তালা ভেঙে ভুক্তভোগী ঐ নারীর বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে এলোপাথাড়ি ভাবে মারধর ও জখম করে।
এতে ঐ নারীর হাত, ঊরু পিঠে কালো দাগ পড়ে যায়। মারপিটের চরম আঘাতে বাদ যায়নি নাবালিকা দুই কন্যা সন্তান নুসরাত জাহান মিতূ (১৪) ও লামিয়া (৮)। বাঁশের আঘাতে কালো দাগ ও ফুলা জখম পড়েছে।
পরে তাদের চিৎকার শুনে আশ পাশে থাকা লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে পীরগঞ্জ উপজেলা সাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
তবে এধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে ভুক্তভোগী ঐ নারীর ভাসুর নুরুল ইসলাম জানান, আমার ভাই ২০২০ সালে মারা যাওয়ার পর অভিভাবক হিসেবে তার সংসার দেখা শুনা করি আমরা।
ছোট ভাইয়ের বউ যেন কোন অনৈতিক কাজে জড়িত না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখে আমাদের পরিবার। তার ইচ্ছে মতো চলতে না পারায় আমাদের উপর এমন মিথ্যা অভিযোগ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।