‘সমন্বয়ক’ সোহেলের ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে জিরোপয়েন্টে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক:  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম সমন্বয়ক সোহেল রানার ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। গতকাল বেলা ৩টার দিকে রাজশাহী নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন, রাজশাহী ব্যানারে এ কর্মসূচি হয়।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার আহ্বায়ক খালিদ হাসান মিলু।

তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সোহেল রানা রাজশাহীতে প্রথম সারিতেই ছিলেন। তাঁর ওপর হামলা মেনে নেওয়া যায় না।

খালিদ হাসান মিলু পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘হামলার আশঙ্কায় সোহেল রানা পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ সোহেল রানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। পুলিশের যে পোশাক মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না, সে পোশাক খুলে ফেলুন।’

আর কোনো সমন্বয়কের ওপর হামলা হলে ছাত্রসমাজ বসে থাকবে না, এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে খালিদ হাসান মিলু বলেন, ‘ছাত্রদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে।

আজ সোহেলের ওপর হামলা হয়েছে। কাল আরেকজন হামলার শিকার হবে। এমন চলতে থাকলে ছাত্রসমাজ বসে থাকবে না।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহমুদ জামাল কাদেরী, জেলা শাখার সমন্বয়কারী হোসেন আলী পিয়ারা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোস্তাকিম হোসেন, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের মহানগরের সদস্য মো. শান্ত, মোহনপুরের সদস্যসচিব ইমন হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন-অর-রশিদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজশাহীতে কোনো সমন্বয়ক পরিষদ গঠিত হয়নি।

তবে রাজশাহী কলেজের যেসব শিক্ষার্থী এই আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকেছেন তাঁদের কেউ কেউ নিজেকে ‘রাজশাহীর সমন্বয়ক’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন।

সোহেল রানা তেমনই একজন। তিনি রাজশাহী কলেজের ছাত্র এবং রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের বিভাগীয় সংগঠক।

গত বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় তিনজন সমন্বয়ক আসেন কমিটি গঠন করতে। তবে তা পণ্ড করে দেয় শিক্ষার্থীদেরই একটি অংশ।

তারা অভিযোগ তোলেন, এক ভুয়া কেন্দ্রীয় সমন্বয়ককে নিয়ে এসে এই কমিটি করা হচ্ছে। এ অভিযোগে ওই ভুয়া কেন্দ্রীয় সমন্বয়ককে মারধরও করা হয়। এ অভিযোগের জেরে সোহেলকেও দুই দফা মারধর করা হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল রানা জানান, রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের জয়, রুহুল-আমিনসহ ২০-২৫ জন নেতাকর্মী তাকে হাতুড়ি ও বাঁশ দিয়ে মারধর করেছেন।

পরদিন রাজশাহী নগর ছাত্রদল একটি সংবাদ সম্মেলনে সোহেল রানা অভিযোগ অস্বীকার করে। তিনি দাবি করে, সোহেল রানা আগে জাসদ ছাত্রলীগ করতেন এবং তিনি ভুয়া সমন্বয়ক। উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে তিনি মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *