আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারল বাংলাদেশ

সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ১৬৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শরাফু-আসিফের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে আমিরাত। শরাফুর ব্যাট থেকে আসে ৬৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। এতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

বুধবার (২১ মে) শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দু’দল।নির্দিষ্ট রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মুহাম্মদ ওয়াসিমকে হারায় স্বাগতিকরা। প্রতিপক্ষ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। দলীয় ১৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় আমিরাত।এরপর মুহাম্মদ জোহাইবকে সঙ্গে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়েন আলিশান শরাফু। ব্যক্তিগত ২৯ রানে রিশাদের বলে সাজঘরে ফেরেন জোহাইব। ক্রিজে আসেন রাহুল চোপড়া। তার ব্যাট খুব একটা হাসেনি। মাত্র ১৩ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। দলীয় ৭৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যান শরাফু। তাকে সঙ্গ দেন আসিফ খান। শেষ পর্যন্ত শরাফুর ৬৮ ও আসিফের ৪১ রানের সুবাদে আর কোনো উইকেট না হারিয়েই ম্যাচ জেতে আমিরাত।বাংলাদেশের পক্ষে ১টি করে উইকেট তুলে নেন শরিফুল, তানজিম সাকিব ও রিশাদ।এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ‘মাঝারি’সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। শুরুতে দেখেশুনে খেলতে থাকে দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও পারভেজ ইমন। প্রথম ওভারেই দলীয় স্কোরবোর্ড জমা হয় ১০ রান।এরপরই ছন্দপতন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে সাজঘরে ফেরেন ইমন। ক্রিজে আসেন অধিনায়ক লিটন দাস। ১০ বলে ১৪ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।

আরেক ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটও হাসেনি এদিন। শুন্য রানেই ফেরেন তিনি। ব্যক্তিগত ২ রানে হায়দার আলীর তৃতীয় শিকার হয়ে ক্রিজ ছাড়েন মেহেদী।পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে বাংলাদেশ। একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন তানজিদ তামিম।৪০ রানের ইনিংস খেলে আকিফ রাজার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপেনার তানজিদ। তার ব্যাট থেকে আসে ৪টি করে চার ও ছক্কার একেকটি দৃষ্টিনন্দন শট।জাকের আলীর ব্যাটে ভর করে শতরান পেরোয় সফরকারীরা। তার ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। শেষ দিকে, হাসান মাহমুদ খেলেন ১৫ বলে ২৬ রানের ইনিংস। শরিফুলের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। বাকি ব্যাটারদের সবাই বিদায় নেন অঙ্কের রানে।

অতিরিক্ত রান আসে ৬টি। শেষ পর্যন্ত ১৬২ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।স্বাগতিকদের পক্ষে ৭ রানের খরচায় ৩টি উইকেট তুলে নেন হায়দার আলী। ২টি উইকেট পান মতিউল্লাহ খান ও সাগির খান।উল্লেখ্য, আরব আমিরাত সফর শেষে পাকিস্তানে উড়াল দেবে লিটন দাসের দল। সেখানে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে তারা। ২৮ মে প্রথম ম্যাচের পর বাকি দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ৩০ মে ও ১ জুন। সবগুলো খেলা-ই অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com