স্টাফ রিপোর্টার; রাজধানীর বনানী এলাকায় প্রাইভেটকারে প্রেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার মামলার প্রধান অভিযুক্ত মাহাদী হাসানকে গ্রেফতার হয়েছে। গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গুলশান ২ নম্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে বনানী থানা পুলিশ। মাহাদী এর আগেও একটি গাড়ি চুরি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। জামিনে এসে তিনি চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। গত বৃহস্পতিবার মাহাদীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে ৭ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করা পুলিশ। কিন্তু কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শুনানী না হওয়ায় তাকে সরাসরি কারাগারে প্রেরন করা হয়।
মামলার সূত্র মতে, গত ২৮ মে দিবাগত রাতে একজন রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ী বনানীর ১১ নম্বর রোডের শেষ মাথার সড়কে নিজের প্রাইভেটকার পাকিং করে তার প্রতিষ্টানে যান। কিছুক্ষন পরেই একটি মোটরসাইকেলে চেপে সেখানে অবস্থান করে ২ সন্ত্রাসী। এদের একজন মোটরসাইকেল থেকে নেমে ওই ব্যবসায়ীর প্রাইভেটকারে (অডি ব্রাণ্ড,) পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর পর তারা দ্রুতই মোটরসাইকেলে চেপে পালিয়ে যায়। ভবনটির নিরপত্তাকর্র্মীসহ সেখানে বহু মানুষ উপস্থিত থাকলেও চোখের পলকেই হেলমেট ব্যবহার করা দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পুড়ে যায় ২ কোটি টাকা মূল্যের গাড়িটি।
ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী শরীফ আল জাওয়াদ বনানী থানায় গত ২৯ মে একটি মামলা (নং-৩১, তারিখ-২৯-৫-২৫) দায়ের করেন। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, গুলশানের বাসিন্দা মাহাদী হাসান গত বছরের ১৪ জুলাই একটি বিদেশী নম্বরের হোয়াট অ্যাপ নম্বর থেকে বাদীর হোয়াটঅ্যাপ নম্বরে একটি ক্ষুদে বার্তায় এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে অন্যথায় তাকে বনানীতে ব্যবসা করতে দেবেনা। এমনকি চাঁদা না দিলে বাদীর গাড়ি পুড়িয়ে দেয়াসহ বড় ধরনের ক্ষতি করবে। এদিকে প্রাইভেটকারে যেদিন প্রেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়া হয় তার আগের রাতে বাদীর রেষ্টুরেন্টের সামনের (১১ নম্বর রোড) মাহাদী হাসানকে গাড়ি নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়।
গাড়ি পোড়ানোর পরে বাদীর নম্বরে ফোন করে গাড়ি পোড়ানোর কথা স্বীকার করে নিজেকে পিচ্চি শুভ পরিচয়ে কোটি টাকা দিতে বলে। অন্যথায় মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। এদিকে ডিএমপির সূত্র মতে, এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি গুলশান প্লাজার সামনে থেকে চোরাই গাড়িসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন মাগাদী হাসান। টিপু সুলতান নামে একজনের প্রায় ২ কাটি টাকা মূল্যের গাড়ি ক্রয়ের কথা বলে কৌশলে তাকে জিম্মি করে গাড়িটি নিয়ে যায় মাহাদী হাসান। ওই মামলায় জামিন পেয়ে পূনরায় অপরাধে জড়িয়ে পড়ে মাহাদী।